মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়



অনেক মহিলা আছে যাদের অল্প বয়সে পেটের মেদ বা ভুরি বেড়ে গেছে। যার জন্য খুবই চিন্তিত অনেক মহিলা জানতে চাই কিভাবে পেটের মেদ অথবা ভুড়ি কমানো যায়। এ বিষয়ে অনেকের কাছে জানতে চাই এবং শুনতে চাই, যে কিভাবে পেটের মেদ বা ভুরি কমাবো।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

কিন্তু সবাই তা সঠিকভাবে বলতে পারেনা যার কারণে পেটের মেদ ও ভুড়ি কমাতে সক্ষম হচ্ছে না।অতিরিক্ত পেটের মেদ অস্বস্তিকর বিষয়। পেটের মেদ নানা কারণে হয়ে থাকে কিভাবে পেটের মেদ কমাবেন এবং কিভাবে পেটের মেদ বেড়ে যায় তা আমি আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বলবো। আপনি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেল পড়বেন চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে মহিলাদের অল্প বয়সেই মেদ বেড়ে যায়। যার কারণ হলো অস্বস্তিকর অভ্যাসের কারণ। কিছু কিছু অস্বস্তিকর কারণের কারণে মহিলাদের পেটের মেদ চর্বি ইত্যাদি বেড়ে যায়। যার কারণে খুবই চিন্তিত হন। তবে চিন্তার কারণ নেই। আমি আপনাকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বলে দেবো, কিভাবে আপনি আপনার পেটের মেদ কমাবেন। 

এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনি খুবই উপকৃত হবেন। তাই আপনার অবশ্যই উচিত আমি আপনাকে যে তথ্য দেব সেটা মেনটেইন করে চলবেন। তাহলে আপনি আপনার পেটের মেদ কমাতে সক্ষম হবেন। চলুন কিভাবে পেটের মেদ কমাবেন সে সম্পর্কে জানুন।

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় অনেকগুলো রয়েছে। এই উপায় গুলো আপনি নিয়মিত পালন করলে আপনার পেটের মেদ অনেক কমে আসবে। ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর কি কি উপায় রয়েছে চলুন জানা যাক।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস গরম লেবুর শরবত পান করতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠুন এবং একগ্লাস পানি গরম করুন। গরম করার পরে অর্ধেক লেবু গরম পানিতে চিপে নিন।সাথে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিন। ভুল করেও চিনি দিবেন না। এবার পানি পান করুন এভাবে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই আর রাতে ঘুমোতে যাবার ঠিক আগ পর্যন্ত এভাবে পানি পান করুন।পানি গরম করে অর্ধেক লেবু চিপে নিয়ে আপনি পানি পান করুন ।এটি আপনার দেহের চর্বি ও মেদ কমাতে সাহায্য করবে ।এটি সবচেয়ে ভালো একটি উপায়।
  • প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়া
ফল ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই পেটের মেদ কমাতে প্রচুর পরিমাণ ফল ও সবজি খাওয়া উচিত প্রতিদিন। আপনি প্রতিদিন ১ বাটি ফল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেহেতু ফল সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে ।এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি ও মেদ কমাতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন ও নিয়মিত ফল ও সবজি খান।
  • মসলা খাওয়া
আমরা দৈনন্দিন জীবনে খাবারের অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করে খাওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত মসলা খাওয়া ঠিক নয়। কিছু কিছু মসলা আছে যা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। সে মসলা হল দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এই মসলাগুলোতে রয়েছে শর্করা। তাই এই মসলাগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। তাই রান্নায় মসলার জন্য প্রতিদিন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ রাখুন।
  • পানি পান করা
আপনি যদি প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করেন তাহলে আপনার দেহের মেটাবলিজম বাড়বে। মেটাবলিজম বাড়লে আপনার দেহে কখনো মেদ অথবা চর্বি জমবে না। আপনি প্রতিদিন পানি পান করার ফলে আপনার শরীরে মেটাবলিজম বাড়বে এবং আপনার রক্তের ক্ষতিকর উপাদান প্রসাবের সাথে বের হয়ে যাবে। ফলে আপনার বাড়তি চর্বি ঝরে যাবে এবং আপনার মেদ হবে না। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

পেটের মেদ একটি অস্বস্তিকর বিষয়। আপনি চর্বি যুক্ত খাবার খেলেন পেটের মেদ বেড়ে গেলো তা নয়। আপনি বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটের মেদ বাড়তে পারে। দেখা যায় একবার পেটের মেদ জমলে সেটা কাটিয়া ওঠা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তবে এ ধারণা ভুল। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে যান। 

সহজেই মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। তার জন্য আপনাকে অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। তার আগে জানা যাক কি কি কারণে মহিলাদের পেটের মেদ বেড়ে যায়। তার মধ্যে রয়েছে মদ্যপান, মিষ্টি জাতীয় খাবার, তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানিও খাবার, অস্বস্তিকর বাইরের খাবার, নিয়মিত লাল মাংস খাওয়া, চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পিছনে অনেক ভূমিকা রাখছে।

তাই এসব খাবার বর্জন করলে পেটের চর্বি কমিয়ে আসতে পারে। আবার মহিলারা অতিরিক্ত বসে থাকে এবং অনিয়মিত চলাফেরার কারণেও পেটের চর্বি বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম চলাফেরা হাঁটাহাঁটি করলে পেটে চর্বি কমতে সহায়তা করে।এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে।

  • একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প খাবার খেতে হবে। সারাদিন ২৪ ঘন্টা খাবার কে ৫-৬ বার করে গ্রহণ করুন। তবে অল্প অল্প করে খাবার খান। পেটের মেদ কমাতে অবশ্যই দুই তিন বার গমের রুটি খেতে হবে। তাহলে এটা দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
  • মহিলাদের বেশিরভাগ দেখা যায় টেবিল চেয়ারে বসে কাজ করতে। তাই মহিলাদের পেটের মেদ সহজে জমে যায়। পেটের মেদ গোল হতে শুরু করে। তাই যাদের বসে থাকতে থাকতে পেটের মেদ জমে গেছে তাদের উচিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর পর উঠে করা ১০-১৫ মিনিট হাটাহাটি করতে হবে।
  • সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি গরম করুন। অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকবে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।
  • সকালবেলা কাচা রসুন চুষে খান। এই অভ্যাসের জন্য আপনার ওজন দ্রুত কমবে এবং পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করে তোলে। পেটের মেদ তাড়াতাড়ি ঝড়ে পড়ে। কাঁচা রসুন পেটের মেদ জমতে দেবেনা। আপনাকে তাই নিয়মিত সকালবেলা কাঁচা রসুনের কয়েকটা টুকরো বা কোয়া খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
  • পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি উপকারী হল গ্রিনটি। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে ফেলুন। গ্রিনটিতে দুধ চিনি দিয়ে মিশিয়ে খান।
  • ফলমূল জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণ খান এবং শাকসবজি খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। যা আপনার শরীরের মেদ কমাতে খুবই উপকার করবে। প্রতিদিন এবং নিয়মিত প্রচুর পরিমাণ ফল এবং শাকসবজি আপনার খাবার তালিকায় রাখুন।

৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ জমলে অনেকে হাটাহাটি করে ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া করে। এতে কিছুটা ওজন কমে যায়। এতে শরীরের ওজন কমলে পেটের মেদ সবসময় কমেনা। পেটের মেদ কমাতে দরকার হয় ধৈর্য শারীরিক কিছু নিয়মকানুন। পরিশ্রমের পাশাপাশি সারাদিন কাজের ফাঁকেও কৌশল অবলম্বন করা যায়। তবে পেটের কমানো সম্ভব হয়। তাই জেনে নেয়া যাক পেটের মেয়াদ ৭ দিনে কিভাবে কমাবেন।
  • পানি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন পানি। শরীরের নানা অসুখ-বিসুখ থেকে নিরাপদ রাখে। পানি স্বল্পতা হলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মাথাব্যথা থেকে শুরু করে অসুখ ও হয়ে যায়। তাই পানি পান করার মাধ্যমে মুক্তি মিলবে আপনার রোগ।
  • গ্রিন টি গ্রিন টি আন্টি অক্সিডেন্ট সহ অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান। যা চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি পানে আপনার শরীরের চর্বি অনেকটাই কমে যাবে এবং ওজন কমে যাবে।
  • মরিচ কাঁচামরিচে রয়েছে ক্যাপসেইসিন নামের এক ধরনের উপাদান। যার শরীর কে সুঠাম করতে অনেক কার্যকর। কাঁচামরিচ ঝাল তার জন্য নিজে থেকে ক্যালরি বার্ন করে। তাই একটু বেশি ঝাড়যুক্ত খাবার কমাতে পারে ওজন এবং চর্বি।
  • সাগুদানা রয়েছে ওমেগা ওজন কমাতে উপযোগী অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা আপনার শরীরের চর্বি ও মেদ কমিয়ে দেয়। আপনি যদি নিরামিষভোজী হন তাহলে আপনি সাগুদানা খেতে পারেন।
  • লেবু পানি চিনি ছাড়া লেবু পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। লিভার পরিষ্কার রাখে সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় চর্বির ভাঙ্গার কাজও। লেবু পানি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
  • দারু চিনি দারুচিনি শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। দারুচিনিতে রয়েছে শর্করা মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার গুন। দারুচিনি খাওয়ার ফলে এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কুমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানোর ঔষধ বাংলাদেশ

মহিলাদের ওজন কমানোর জন্য অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। তার আগে আমরা জানবো যে ওষুধ খেলে আসলে কি ওজন কমে বা পেটের মেদ কমে যায়। অনেকেই মনে করে যে ওষুধইতো ওজন কমবে তাহলে নিয়মিত শরীর চর্চা করা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া করে লাভ। তাই মনে রাখতে হবে যে শরীর চর্চা করা হাঁটাহাঁটি ব্যায়াম করা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে খাওয়া ইত্যাদি শুধু শরীরের ওজন কমে না।

এটা শরীরের পক্ষে ভালো শরীর সুস্থ রাখে। আপনার মন ভালো রাখে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে তুলবে। এভাবে শরীরের ওজন কমানোর জন্য ওষুধ সেবনের পাশাপাশি আপনাকে চর্চা করতে হবে। না হলে আপনার শরীরের ওজন কমবে না।চলুন কোন ওষুধ খেলে শরীরের ওজন কমে এবং মেদ কমে আসে। সেই ওষুধ সম্পর্কে জানি।
  • জিরোফ্যাট ১২০ এম জি ক্যাপসুল (Zerofat 120 MG Capsule)আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত হয়ে থাকে। আপনি অতিরিক্ত মোটা হন। যদি আপনার শরীরের ওজন বাড়তে থাকে। তাহলে আপনি এই ওষুধ খেতে পারেন তবে এই ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার থাকে কিছু পরামর্শ নিয়ে খাবেন এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও আছে। তবে এতে প্রচুর পরিমাণ উপকার পাবেন আপনার শরীরের ওজন কমাতে। তবে আপনি পরিশ্রম বেশি করুন এবং খাবার কোন খান তাহলে আপনার শরীরের চর্বি খুব দ্রুত সরে যাবে এবং ওজন কমে যাবে 

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

তলপেটের চর্বি ঠেকানো খুব একটি বড় কঠিন ব্যাপার। পেটের চর্বির বেড়ে যায় এটা নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকে না। বিশেষ করে হরেক রকমের কারণের তল পেটের চর্বি বেড়ে যায়। মহিলাদের এর থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। বয়স বাড়লে পেটের চর্বি বা মেদ বেশি জমে যায়। তার সেই সাথে কমে যায় ক্যালরির চাহিদা।

বিশেষ করে মহিলাদের ঋতু বন্ধ হলে পেটে মেদ জমে যায়। মহিলাদের হরমোন কমলে পেটের মেদ জমার প্রভাব বেশি পড়ে। যার কারণে তলপেটে চর্বি বেশি জমে তাই তলপেটের চর্বি কমানোর জন্য বিশেষ বিষয় অবলম্বন করা উচিত। তাহলে তলপেটে চর্বি থেকে মুক্ত পাওয়া যাবে। 

যেমন ফল সবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। চিনি খাবেন খুব কম। মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে এরিয়া চলুন। বিশেষ করে পরিশ্রম বেশি করুন এবং খাওয়া কম খাবেন। পরিশ্রম করতে হবে ব্যায়ামের মাধ্যমে। যেমন উঠাবসা দড়ি দিয়ে লাফ দেওয়া। মূল কথা হলো পেশিকে খেলাতে হবে। অবশ্যই দুশ্চিন্তা করবেন না মনের মধ্যে চাপ রাখবেন না।

যদিও চাপ আসে তাহলে এর মোকাবেলা করতে হবে। তার জন্য ধ্যান চর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন।সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন আছে। রাতে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো ভালো। যারা ৫ ঘন্টার কম ঘুমান তাদের ওজন বেড়ে যায় চর্বি জমে যায়। আর জিনগত বিষয় তো আছেই জিনগত বিষয়ের কারণেও পেটের চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে।

সেই সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত মাঝে মাঝে চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং হরমোন পরীক্ষা করবেন। তাই বলা যেতে পারে স্বাস্থ্যকর আহার আর ব্যায়াম দ্রুত একত্রে চালিয়ে যেতে হবে। কম ক্যালোরি কম শর্করা কম মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে। খাবারে যদি আপনি প্রচুর পরিমাণ আঁশ রাখেন তাহলে ভালো আপনি আপনার তলপেটের চর্বি কমাতে পারেন।প্রচুর পরিমাণ শসা খান দ্রুত আপনার তল পেটের চর্বি কমে যাবে।

পেটের মেদ কমানোর জন্য কতটুকু ব্যায়াম করা উচিত?

সাধারণত নারী ও পুরুষের সবার পেটের মেদ বা চর্বি জনিত জটিলতা রয়েছে। দেখা যায় সারা শরীর থেকে পেটের চর্বি জমে গেছে বেশি। অত্যন্ত কষ্ট হলেও সত্য যে পেটের চর্বি বা মেয়াদ কমাতে সময় একটু বেশি লাগে। তবে নিয়মিত সঠিকভাবেই ব্যায়াম খাদ্যভাস আপনার পরিবর্তন আনতে সক্ষম। পেট ভরে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন। 

খাবার খাওয়া আধা ঘন্টার পরে পানি খাবেন। রাত আটটার মধ্যে শেষ করে আপনি আপনার ঘুমানোর জায়গায় ঘুমাতে যান। অথবা ঘুমানোর দুই ঘন্টা আগে আপনি আপনার রাতের খাবার শেষ করতে পারেন। এগুলোর পাশাপাশি আপনার নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে আপনার পেটের চর্বি বা মেদ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। আপনার খাওয়ার তালিকা রাখতে হবে ফল, লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, মুরগি, মাছ। দ্রুত পেটের চর্বি কমাতে নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো আপনি করতে পারেন সেগুলো হল
  • সিট আপ
আপনি আপনার ঘরে অথবা বারান্দায় মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার আপনার পা ভাঁজ করে দিন। হাঁটু বরাবর হাত থাকবে সোজা সামনের দিকে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা সামনের দিকে উঠে বসুন। পা ভাজ অবস্থায় থাকবে। বসা অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকবেন না উঠে আবার শুয়ে পড়ুন। আবার উঠে বসুন এভাবে ১০ থেকে ১২ বার ব্যায়াম করুন। তারপর এক মিনিট বিশ্রাম নিন। ঠিক ১ মিনিট পর আপনি আবার একই রকম ভাবে ব্যায়াম শুরু করুন। এভাবে তিনবার আপনি ব্যায়াম করুন।
  • ক্রাঞ্চেস
সোজা হয়ে মেঝেতে প্রথমে শুবেন। তারপরে পা দুটো একটু ফাঁকা রেখে ভাজ করে দিন। হাত দুটো আপনার মাথার দুপাশে অর্থাৎ কানের পিছন দিকে রাখুন। এবার নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে উপরের দিকে তুলুন। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে মুখ দিয়ে ফু দেওয়ার মতো নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে। আর ঘাড়ে কোন চাপ দেবেন না। আপনি আপনি মনোযোগ দিবেন আপনার পেটের মাংসপেশিতে।

ঘাড় ব্যাকা করবেন না ঘাড় সোজা থাকবে। এবার নিঃশ্বাস নিতে নিচের দিকে নামবেন। মেঝেতে আপনার মাথা লেগে যাবে না। নিজ থেকে আপনার মাথা কিছুটা ফাঁকা থাকবে। এভাবে আপনি আবার উপরে উঠুন। আবার নিচে নামুন দ্রুত করবেন না। আস্তে আস্তে করবেন। এভাবে বারবার আপনি করার পর এক মিনিট বিশ্রাম করে। ঠিক এক মিনিট পর আবার একই ভাবে বারবার আপনি করবেন এভাবে তিন বার আপনি ব্যায়াম করুন।
  • রাশিয়ান এবস টুইস্ট
পা দুটো সামনে সোজা করে নিয়ে বসে যান। এবার পা দুটো ভাজ করে পায়ের পাতা মেজে থেকে একটু উঁচুতে নিয়ে যান। কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ একটু পিছনের দিকে নেবেন এবং হাত দুটো নমস্কার ভঙ্গিতে রেখে। একবার ডান দিকে ঘুরে বাম কমরের কাছে আবার বাঁ দিকে ঘুরে ডান কোমরের কাছে আনুন। এভাবে বারবার করে দুই সেট করবেন। এতে আপনার কোমরের পাশের চর্বি এবং তলপেটের মেদ বা চর্বি কমতে সহায়তা করবে।
  • প্লাংক
ওপর হয়ে শুয়ে সামনে দুই হাত ভাঁজ করে কনুইয়ের উপর এবং পায়ের উপর ভর দিয়ে একটু উঁচু হয়ে শরীরকে একটি সমান্তরাল অবস্থায় রাখতে হবে। এভাবে ঠিক এই অবস্থায় রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট প্রথম দিকে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড রাখবেন। পরে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে নিবেন 45 সেকেন্ড পর্যন্ত আবার এক মিনিট এভাবে আপনি রাখতে পারেন। 

তবে বেশি সমস্যা হলে আপনি এক মিনিট কি দুই মিনিট রাখতে পারেন। এতে আপনার চর্বি কমবে ।এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে আপনি অবশ্যই খুব ভালো ভালো ফল পাবেন। তবে মনে রাখবেন প্রতিদিন পেটের ব্যায়াম করা যাবে না। একদিন থেকে দুইদিন পরপর আপনি পেটের ব্যায়াম করতে পারেন। যদি প্রতিদিন পেটের ব্যায়াম করেন তাহলে মাংসপেশিতে ব্যথা হবে। 

এতে আপনার দুশ্চিন্তা হবে এবং আপনার মনে হবে যে ব্যায়ামগুলো মনে হয় আপনার কাজে লাগছেনা। আপনি ভালো ফল পাবেন সেগুলো ব্যায়াম আপনি ট্রাই করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক যদি আমার এই কন্টেন্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এতে আপনার বন্ধুরা উপকৃত হবে। প্রতিদিন আমার ওয়েবসাইটে সাথে থাকুন এবং আমার ব্লগার পড়ুন। এটা আপনার অনেক অজানা তথ্য জেনে যাবেন এবং অনেক উপকার হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মা টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url