অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় তা হলো।বাংলাদেশে এপ্রিল মাসে তীব্র গরম তা প্রবাহ সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে ।এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে সবাই চায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে যৌন জীবন নাজেহাল।শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত তা জানতে হবে। এপ্রিল মাস শেষ হতে এখনো ১০ দিন বাকি কিন্তু এর মাঝে তীব্র করার মানুষ কাইল হয়ে পড়েছে এই তীব্র গ্রামের সুস্থ থাকার জন্য কিছু উপায় তুলে ধরা হলো চলুন জানা যাক।
অতিরিক্ত গরমে কি কি করা প্রয়োজন এই পরিস্থিতির মধ্যে কি কি সমস্যা হয় কি কি সর্তকতা অবলম্বন
করা প্রয়োজন সেটাই তুলে ধরা যাক
ভূমিকা
অতিরিক্ত গরমে আমাদের কি কি সমস্যা হয়। আপনি কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না আমি আপনাকে বলব যে আমাদের অতিরিক্ত গরম কি কি সমস্যা হয়। এবং কি কি সমস্যার অবলম্বন করলে সমস্যা সমাধান হবে। আমি আমার এই ব্লগার এ তুলে ধরবো ।আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন ।তাই এটা আপনি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলেই আপনি গরমে আমাদের কি কি সমস্যা হয় জানতে পারবেন ।
শরীরের গরম কমানোর উপায়
দৈনন্দিন জীবনে তীব্র গরমে বয়স্ক অসুস্থ মানুষ খেটে খাওয়া শ্রমিক মজুরিদের কষ্ট ও ঝুঁকি বেশি হয়।অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় । কর্মর জন্য বাইরে যেতে হয় শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবীরা বাইরে যান কর্ম করার জন্য এতে অনেক ঝুঁকি হয়ে পড়ে তীব্র গরমের জন্য তাই কিছু শর্ত অবলম্বন করলে শরীরে গরম কমানোর উপায় জানা যায়। যেমন কোথাও যেতে হলে তীব্র তাপের মধ্যে থাকা বা ক্যাপ ব্যবহার করা আবশ্যক।
এ ছাড়া শরীরে পানিশূন্যতার জন্য স্যালােইন অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে। শরপদ পান করতে হবে। তাছাড়া বদলে লাইনের শরবত অথবা পানি বহন করতে পারেন। তীব্রতা প্রবাহের মধ্যে তাপ এড়াতে ছায়াযুক্ত স্থান দিয়ে চলতে পারেন। মোটা কাপড় বাদ দিয়ে হালকা পাতলা রুম কাপড় পড়তে হবে ।তাহলে গরম কম লাগবে এই তীব্র গরমে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে না যাওয়াই ভালো ।
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়।যারা শ্রমিক তীব্র রোগের মধ্যে কর্ম করেন তারা মাথায় অবশ্যই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে কাজের মধ্যে কিছুক্ষণ পরপর জায়গায় আশ্রয় অথবা বিশ্রাম নেওয়া ভালো।তীব্র রোদের মধ্যে কাজ করার সময় বারবার মুখে পানি ছিটাতে হবে এবং স্যালাইনযুক্ত শরবত পান করতে হবে।
তাছাড়া যাদের দিনে ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে তারা সময় পরিবর্তন করতে পারেন সন্ধ্যা অথবা রাতে ছায়াযুক্তই ব্যায়াম করবেন। তাপমাত্রা কমাতে বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে দুপুরে বিকেলে গোসল করার অভ্যাস করতে হবে তাহলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। অতিরিক্ত গরমের জন্য শরীরে ঘাম হয় এবং শরীর থেকে লবণ পানি বের হয়ে যায়। তার ঘাটতি হয় সেটা পূরণের জন্য অতিরিক্ত তরল পানি পান করতে হয় তাই গ্রীষ্মকালীন ফলের জন্য তাজা জুস, ডাবের পানি, লবণ চিনি ,স্যালাইন পানি মাঝে মাঝে খেতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে প্রসাবের গারো রং পানি স্বল্পতার লক্ষণ।
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
চলছে গ্রীষ্মকাল বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশে প্রচন্ড পরিমান গরম পরে চারদিকে অস্থিরতা কাজ করে সেই সাথে রয়েছে আদ্রতা হলে জীবন যাপন গরমে স্বাস্থ্য সমস্যা রোগ জ্বালা ঘামাচি পানি স্বল্পতা ইত্যাদি সবারই হচ্ছে।অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় তা হলো, আবার কেউ কেউ হিট স্ট্রোকের মত মারাত্মক সমস্যা আক্রান্ত হচ্ছে যার ফলে মানুষ মারা যাচ্ছে সাথে সাথে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে শিশু বয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তি।যাদের শরীর বেশি মোটা আছে তাদের অন্যদের থেকে উৎসব বেশি করতে পারে। যাদের শরীর ডায়াবেটিস আক্রান্ত শরীরে পানি খুব দ্রুত কমে যেতে পারে। এ কারণেও গরম বেশি লাগতে পারে। এই রোগের কারণে রক্তনালি তে পরিবর্তন করতে পারে। যার ফলে শরীরে পর্যন্ত পরিমাণ ঘাম হয় এবং বেশি ঘাম হওয়ার হলে ক্ষমতাও কমে যায়।
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়
অনেকদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে অতিরিক্ত গরম সবার অবস্থা নাজেহাল। গরমের তীব্রতার কারণে বিভিন্ন রোগ এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ গরমে প্রয়োজন না হলে বাইরে না যাওয়াই ভালো। তবে বাইরে গেলে সঙ্গে ছাতা এবং পানির বোতল রাখতে হবে। এবং বাসায় বয়স্ক এবং শিশু থাকলে তাদের যত্ন নিতে হবে এবং তীব্র গরমের কারণে বাইরে যেতে না দেয় ভালো।অতিরিক্ত গরমে যেগুলো সমস্যা হতে পারে।অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় তা হলো।
- পানি শূন্যতাঃ অতিরিক্ত গরমে সব থেকে বেশি সমস্যা হয় সেটা হল পানি শূন্যতা। অতিরিক্ত গরম শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে। বাতাসের আদ্রতার কারণে শরীর দ্রুত পানি শূন্যতা হয়ে যায় ।ফলে শরীরে অতিরিক্ত পানি। শূন্যতা দেখা দেয় তীব্র গরমে পানি শূন্য থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রয়োজনীয় তরল খাবার প্রচুর পরিমাণ খেতে হবে। সেই সাথে বাইরে গেলে অবশ্যই পানির বোতল এবং ছাতা রাখা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ।বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে।
- হিটস্টোকঃ এই অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্টোক হয়ে থাকে। প্রতিবছর অতিরিক্ত গরম এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর থেকে পানি শূন্যতা হয়ে যায়। এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রোদের তাপমাত্রায় ১০৪ ডিগ্রী ও তার বেশি হয়ে যায়। ফলে বয়স্ক ব্যক্তি শিশু হৃদরোগ ফুসফুস রোগের আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রিয়াবিদ এদের সবথেকে বেশি ঝুঁকি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত গরমের হিটস্টোকের লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
- দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে এলোমেলো আচরণ ও খিচুনি হতে পারে।
- বমি বমি ভাব হয় তীব্র মাথাব্যথা হয় মাংসপেশি দুর্বলতা হতে থাকে।
- অতিরিক্ত ঘাম অথবা ঘাম না হওয়া তোকে ফুসকুড়ি হওয়া অবস্থায় তো না হয়ে পড়া।
- করণীয়
- দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঠান্ডা জায়গাতে নিয়ে যেতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- ফ্যান অথবা এসির নিচে রাখলে ভালো হবে।
- চোখে মুখে উছুর পরিমাণ পানি দিতে হবে এবং গোসল করানো গেলে করাতে হবে।
- যদি অবস্থা আর কোন উন্নতি না দেখা যায় তাহলে সময় নষ্ট করা যাবে না সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিতে হবে।
- ৩.ডায়রিয়াঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে বদহজম অথবা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। গরমে বেশিরভাগ সময় খাবার নষ্ট হয়ে যায়। যেটা খেলে বদহজম এবং বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই পচা বাঁশি খাবার রাস্তার খোলা খাবার খাওয়ার আগে অবশ্য ভালো করে গরম করে নিতে হবে ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণ ডাবের পানি খেতে হবে।
গ্রীষ্মের তাপ থেকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা পরিবর্তন
গ্রীষ্মকালের তীব্রমাত্রা গরম পড়বে সেটা স্বাভাবিক।শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত তা জানতে হবে। বিশেষ করে জৈষ্ঠ মাসে এটা যুগ যুগ ধরে হয়ে আছে। গ্রীষ্মকালে দুপুরে তীব্র অতিরিক্ত গরমের বর্ণনা কবিতা এবং গানে পাওয়া যায়। বর্তমানে অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে পিছ গলে যাচ্ছে। মাঠঘাট সুখে চলছে মানুষ পশু পাখি গাছপালা সবাই যেন কাতর হয়ে পড়েছে নাজেহাল অবস্থা বেড়ে যাচ্ছে এবং দেখা যায় 30 বছরের বেশি ধরে একই রকম গরম পরছে।
আবার দেখা যাচ্ছে আবার অন্য অঞ্চলে তিন দশকের তাপমাত্রার গরমের করলে দেখা যায় একেকবার একই রকম হচ্ছে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যত মানুষ মারা যায় না তার থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে অতিরিক্ত গরমের কারণ তা প্রবাহের কারণে তবে তা প্রবাহ তবে আস্তে আস্তে জলবায়ু পরিবর্তন হতে থাকবে।এবং তার প্রবাহ আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখা ভালো তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে আপেক্ষিক আদ্রতা মিলিয়ে দেখতে হবে।
এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাবার খাওয়া পানি শূন্যতা ঠেকাতে পানি পান করা যেমন লেবুর রস লেবুর শরবত স্যালাইন ইত্যাদি খেতে হবে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা রাখতে হবে। বর্তমানে বর্তমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপ প্রবাহ ও নিকৃষ্ট করতে পারে। তীব্র তাপমাত্রার কারণে প্রায় চামড়া পড়ে যেতে পারে। তবে আস্তে আস্তে তার প্রবাহ কমতে থাকবে।
সে হিসেবে আমাদের চলাফেরা করতে হবে। এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হবে এই গরমে তীব্র তাপমাত্রার কারণে বাইরে না যাওয়াই ভালো প্রয়োজন ছাড়া।
ঠান্ডা গরম লাগলে করণীয়
বর্তমান গ্রীষ্মকাল এই গরমে অতিরিক্ত গরম পরছে এবং অতিরিক্ত শরীর দিয়ে ঘাম হচ্ছে। এই ঘাম শরীরের শুকিয়ে গিয়ে শরীর ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে ।এছাড়া অতিরিক্ত ঘামে ভেজা কাপড়চোপড় বেশিক্ষণ গায়ে থাকে সেটা বাতাসে শুকিয়ে আবার সেটা গায়ে লেগে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। এতে ঠান্ডা লাগবে স্বাভাবিক ।
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় ।তবে ঠান্ডা শিশুদের প্রতি নির্ভর করে প্রত্যেক মানুষের রোগের সাধারণত ঠান্ডা লেগে গেলে শিশু বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা বেশি ঝুকিতে থাকে। ঠান্ডা কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন এলার্জিজনিত ঠান্ডা আবার ভাইরাস জনিত ঠান্ডা ভাইরাস ঠান্ডা কয়েক দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। এলার্জিজনিত সমস্যা থাকলে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে এবং এটি বেশিদিন থাকে।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শে খুব তাড়াতাড়ি এলার্জিজনিত ঠান্ডা ভালো হয়ে যায়। ঠান্ডা লাগলে ভালো হয়ে যাবে ঠান্ডা লাগলে বারবার গলা শুকিয়ে যায়। পানি শূন্যতা হয় তাই পশুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। লেবুর চা আদা চা খেলে আরাম পাওয়া যায় ।গোলমরিচ মশাযুক্ত খাবার এই সময়ে আরামদায়ক মনে রাখতে হবে। আপনার শরীর জীবাণু অথবা এলার্জির বিরুদ্ধে নিজেই যুদ্ধ করবে তবে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম দিন উপসর্গ অনুযায়ী অবস্থা পত্র কিছুটা সময় দিতে হবে তাহলে ঠান্ডা দ্রুত সেরে যাবে।
শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় তা জানতে পারছেন। এই গরমে যেসব খাবার খাওয়া যাবে সেসব খাবার তালিকা দেওয়া হলো এই তালিকা অনুযায়ী খাবার খেলে কোন সমস্যা হবে না অবশ্যই এই গরমে খাবারগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো হলঃ
- কম মসলা জাতীয় খাবার
- শাক-সবজি
- পাতলা সুপ
- ডাবের পানি
- লেবু পানি
- ফলমূল
- কাঁচা আমের শরবত
- টক দই
- ডিটক্সওয়াটার
এছাড়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা। এই গরমে পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৪৪ ডিগ্রিট উঠানামা করছে। তখন শরীর প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লিটার পানি হারাচ্ছে। পানি শূন্যতা সব সময় হবে ঘাম হবে তা নয়। ঘাম ছাড়াও উচ্চ তাপমাত্রায় টক এমনিতে পানি হারাতে থাকে।
তাই প্রাণীর অভাব পূরণ করতে ফলের রস জুস ডাবের পানি ইত্যাদি পানি পান করতে পারেন তবে এর পরিমাণ ১৫০ মিলিলিটারের মধ্যে রাখতে হবে। ফলের রস জুস ডাবের জুস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। তাই আমাদের উচিত ১৫০ মিনিটের মধ্যে ফলের রস ডাবের রস খাওয়া উচিত। এর থেকে বেশি খাওয়া যাবে না কারণ এতে চিনি থাকে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক যদি আমার এই কন্টেন্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন । এতে আপনার বন্ধু রা উপকৃত হবে । প্রতিদিন আমার ওয়েবসাইটে সাথে থাকুন এবং আমার ব্লগার করুন এটা আপনার অনেক অজানা তথ্য জেনে যাবেন এবং অনেক উপকার হবে।
মা টেক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url